শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সেন্টমার্টিন এখনো করোনা মুক্ত

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ থাকায় করোনাভাইরাস থেকে এখনো নিরাপদ রয়েছে এ দ্বীপের বাসিন্দারা।যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দ্বীপের মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হলেও জেলা প্রশাসক বলেছেন, পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ১৭ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটিকে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নৌ রুটের চলাচল। পর্যটকদের আসা যাওয়াও বন্ধ। ফলে এ পর্যন্ত দ্বীপটিতে কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। এরমধ্যে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন, তার ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। এতে খুশি দ্বীপের মানুষ।

তবে দ্বীপের মানুষের সপ্তাহে দু’দিন সীমিত পরিসরে টেকনাফ আসতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে যান। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান দ্বীপের বাসিন্দারা। তারা আরও জানান, করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে সেন্টমার্টিনের স্থানীয়রা খুব কষ্টে আছে।সেন্টমার্টিনের মানুষ মুলত: দুটি পেশায় জড়িত। একটা হচ্ছে পর্যটন ও আরেকটা হচ্ছে মৎস্যখাত। বর্তমানে এই দুই পেশার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক।

দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে এখনো করোনামুক্ত রয়েছে। তবে এখানকার অধিকাংশ জেলে ও স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে যদি সরকার আমাদের দিকে নজর না দেয় তাহলে আমরা খুব সমস্যায় পড়বো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ পাচ্ছে, কিন্তু আমরা এখানে তেমন কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না।’

দ্বীপের আরেক বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা আগের মত ব্যবসা করতে পারছে না। ঠিক মতো মালামাল আনতে পারছে না। সপ্তাহে দু’একদিন ট্রলার যাতায়াত করে এ কারণে অনেকের মালামালের সংকট দেখা দেয়। আর সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেরাও মাছ শিকারে সাগরে যেতে পারছে না। ফলে সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ী, জেলে এবং স্থানীয়রা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

খোরশেদ আলম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের দ্বীপের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত এমবিবিএস কোনো চিকিৎসক নেই। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে দ্বীপের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘দ্বীপের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। আগামী পর্যটন মৌসুম চালু না হওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের মানুষ সমস্যায় পড়বে। তাদের আয়ের উৎস সম্পূর্ণ বন্ধ। সরকারের কাছে অনুরোধ, সেন্টমার্টিনের মানুষ যেন খাদ্য সহায়তা পায়।’

এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন একটা আইসোলেটেড এরিয়া, যেখানে কোন মানুষের ইচ্ছে করলে যাওয়া সম্ভব না এবং ওখানে পর্যটক ও স্থানীয়দের যাওয়া আসাটাও বন্ধ। যে কারণে এখানে সংক্রমণ হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে এই দ্বীপটি এখনো করোনামুক্ত আছে। ওখানে যেন কেউ না যেতে পারে সে জন্য প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে।’

জেলা প্রশাসক জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে আসা যাওয়া বন্ধ রাখার সুফল এটি। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের কথাও বলেন তিনি।সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। যেখানে রয়েছে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশের কড়াকড়ি। করোনাভাইরাস থেকে এখনও নিরাপদ রয়েছে এই দ্বীপের বাসিন্দারা।

সুত্র: রাইজিংবিডি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION